ত্রিপুরাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তাদের নিজস্ব । ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি দেশ বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করেছে এবং এশিয়া মহাদেশ সহ বাইরেও বেশ
আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ত্রিপুরাদের বাঁশী এখনো বিভিন্ন সংস্কৃতিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গরাইয়া নত্য, কেরপূজা নৃত্য এবং বোতল নৃত্য ঢাকা সহ বিভিন্ন শিল্পকলা একাডেমীতে প্রদর্শন করা হয়েছে। তার মধ্যে বোতল নৃত্য ও গড়াইয়া নৃত দেশ বিদেশে প্রশংসা অর্জন করেছে।
গড়াইয়া নৃত্য আকাশ দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয় বিশেষ করে খরায় গৃহস্ত বাড়ীর উঠানে উঠানে ভ্রাম্যমাণ হয়ে এক দল যুবক এই গড়াইয়া নৃত্য পরিবেশন করে। যা বাঁশী এবং ঢোলের সাহায্যে তালে তালে পরিবেশন করা হয়। ত্রিপুরা সমাজে এই নাচ অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রাচীনকালেও এই নৃত্য প্রচলিত ছিল।
মূলতঃ বৃষ্টির প্রার্থনার জন্যই এই নামের আয়োজন। এই নাচ সাধারণতঃ খোলা আকাশের নীচেই হয়ে থাকে। এই নাচ অনুষ্ঠিত হয় চৈত্র-বৈশাখের দিকে। তাদের ধারণী মহাদেব পত্নী গৌরীর উদ্দেশেই এই নৃত্য। তাই এই নাচের নাম গরাইয়া।
এই মাসে কৃষকরা পাহাড়ের ঢালুতে বীজ বপন করে। নাচে অংশগ্রহণকারীরা আনন্দের সাথে গ্রাম হতে গ্রামান্তরে নেচে বেড়ায়। যেমন: গরং চাং চাং গুরুআং চাং ) শব্দে বোতল নৃত্য পায়ের নীচে দুইটি কলসীর মধ্যে পা বদল করে মাথার
উপর একটি বোতল দিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করে বাদ্যের তালে তালে হাতে থালা নিয়ে অতন্ত বিচিত্রভাবে যুবতীরা এই নত্য প্রদর্শন করে। যে নৃত অষ্ট্রেলিয়া স্কটল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশে সুনাম অর্জন করে এসেছে বাংলাদেশ সরকার।
ত্রিপুরা মেয়েরা এক ধরণের বহ্মবাস কোমর তাঁকে প্রস্তুত করে। তার উপরেই অংশটাকে বলা হয় রিসা এবং নীচের অংশটাকে বলা হয় রিনাই। ত্রিপুরারা খুবই আনন্দ প্রিয় জাতি। তারা সংগীত ভালবাসে। তাদের প্রধান খাদ্য ভাত এবং শুটকী মাছ।