মহান ঐতিহাসিক দিবস ১৯ জানুয়ারি 'ককবরক স্বীকৃতি দিবস' নিয়ে হয়তো অনেকের অবগত না।
১৯৭৯ সালের ১৯ শে জানুয়ারিতে ককবরক ভাষাকে ত্রিপুরা রাজ্যে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর পর পর থেকে প্রতি বছর ১৯ শে জানুয়ারিকে ককবরক স্বীকৃতি দিবস ভাষা হিসেবে ত্রিপুরা রাজ্যে দলমত নির্বিশেষে সবাই এই দিনকে পালন করে আসছে। তারই পাশাপাশি হিসেবে বাংলাদেশে প্রথম ২০১৭ সালে এই মহান ঐতিহাসিক দিবসটি পালন করা হয়।
এই দিবসের পিছনে অনেক ইতিহাস লুকিয়ে আছে।
শহীদ ধঞ্জনয় ত্রিপুরা হচ্ছেন আমাদের ককবরক ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ।দিনটি ছিল ১৯৭৫ সালের ৩ রা মার্চ। ককবরক ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া আর বহিরাগতদের রাজ্য থেকে বিতাড়নসহ চার দফা দাবি নিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলে। সেই আন্দোলনে শহীদ ধঞ্জনয় ত্রিপুরা ছিলেন এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। সেদিন সর্ববৃহ আন্দোলনে জমায়েত হয়েছিল দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জোলাইবাড়িতে যার নেতৃত্বে ছিলেন বিপ্লবী শহীদ ধঞ্জনয় ত্রিপুরা। হাজার হাজার লোকের জমায়েত সেদিন ত্রিপুরা বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ভূমিরপূত্র জাতির সন্তানের কোনো কিছু কার্পণ্য না করে সারা ত্রিপুরা রাজপথে রক্তের রঞ্জিত করে। সেই বিশাল মহাসমাবেশ আটকাতে পুলিশ মিশিলের উপর গুলি বর্ষণ করলে আন্দোলনরত সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে কিন্তু সেই পুলিশের গুলিকে উপেক্ষা করে স্লোগান দিয়ে সামনে এগিয়ে যায় বিপ্লবী নেতা শহীদ ধঞ্জনয় ত্রিপুরা এবং পুলিশের গুলিতে গুলিবদ্ধ হয়ে বীরের মতো শহীদ বরণ করেন। তার জীবনের বিনিময়ে ১৯৭৯ সালের ১৯ শে জানুয়ারিতে রাজ্য সরকার ককবরক ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।