দিঘী খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালার উপজেলা ৪নং দিঘীনালার ইউনিয়নের অবস্থিত ত্রিপুরা জাতির এক মহান ঐতিহাসিক স্থান।
ঐতিহাসিক সেই মাইনীর দিঘীর নামানুসারে বতর্মান দিঘীনালা নামটি উৎপত্তি হয়েছিল।
দিঘীটি খনন করেছিলেন তৎকালীন ত্রিপুরা মহারাজা গোবিন্দ্য মানিক্য দের্ব্বমা। মহারাজা দক্ষিণ_ পশ্চিমাঞ্চল থেকে বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় ঘুরে দর্শন করে আসতে আসতে ঠিক পর্যায়ে তিনি বর্তমান দিঘীনালাতে বিশ্রাম করেছিলেন এবং স্নানের জন্য ১৬৬৫ খ্রি: সালে দিঘীটি খনন করেছেন। দিঘীর মোট আয়তন ছিল ৩২০ শতক, দিঘীর স্থলাংশ হচ্ছে ১.৬০ শতক আর জলাংশ ১৬০ শতক।
ত্রিপুরার ইতিহাসে এক বিরল ঐতিহাসিক স্থান ছিল এই দিঘীটি।
কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের ঐতিহাসিক স্থানগুলো আমরা ধীরে ধীরে ভুলতে বসেছি। আমরা আমাদের পূর্বপুরুষরা রেখে অমূল্য সম্পদকে রক্ষণাবেক্ষণ করতে না পারায় দিন দিন এই রকম হাজার হাজার ইতিহাসের সাথে মিশে থাকা স্থানগুলো আমাদের থেকে ভিন্ন জাতিরা কেড়ে নিচ্ছে নিয়ে যাবে।
কিন্তু এখন সময় এসেছে হে বীর তিপ্রাসা,আমাদের ইতিহাস পূণরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এক হয়ে আওয়াজ তুলতে হবে। এই সময়ে আমরা সঙ্গবদ্ধ হতে না পারলে প্রজন্মদের জন্য আমরা কোনো কিছু রেখে যেতে পারব না। সম্মিলিত হয়ে এক আওয়াজ তুলে ইতিহাসকে নতুন রুপে রুপান্তর করব। প্রগতিশীল চিন্তাধারা সমাজ এবং জাতির উন্নয়নের জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
দিঘীনালার দিঘীকে ত্রিপুরা #HERITAGE পার্ক হিসেবে সংগ্রহ করা হোক। এই দাবি নিয়ে ত্রিপুরা অভিভাবক সমাজ এবং ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান করলাম।